বরিশালবাসীর স্বপ্নের পায়রা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ায় অচল হয়ে গেছে সেখানকার নদীতে যুগ যুগ ধরে চলাচল করা ফেরিগুলো। ফেরি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমলেও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে জীবিকা চালানো দুই শতাধিক ফেরিওয়ালা ও ক্ষুদ্র দোকানি। কীভাবে পেট চালাবেন তাই নিয়ে তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
ফেরিঘাটের দুই পাশের (বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী) দোকানদারদের বেশ কয়েকজন সেতুর প্রান্তগুলোতে ব্যবসা শুরু করলেও অধিকাংশ পড়েছেন বিপাকে। অর্থ সংকটে ফের ব্যবসা শুরু করতে না পাড়ায় শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন তারা। পুনর্বাসনের দাবিতে এই হকারেরা ফেরির ওপর দাঁড়িয়ে মানববন্ধনও করেছেন।
লেবুখালী ফেরিঘাটে ভাতের দোকানি সোহাগ খান বংশ পরম্পরায় এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তার নিজের ২৮ বছর বয়সের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে এ দোকানে বাবার সঙ্গে। কিন্তু এখন আর তার হোটেল ক্রেতার ভিড় নেই। এ নিয়ে চিন্তায় তার গোটা পরিবার। ফেরিতে ভাসমান আমড়া বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও ডিম বিক্রেতা মো. সাইদ বলেন, মৌসুমে আমড়া থেকে শুরু করে শসা ও ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন এক হাজার টাকার বেশি আয় করতেন। ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প পেশার কথা ভাবতে হচ্ছে এখন।
সড়ক ও জনপথের ফেরি বিভাগের দুই নম্বর ফেরির চা বিক্রেতা নুরুজ্জামান ফরাজী জানান, তার বাবা এই ফেরিঘাটে চা বিক্রি করতেন। ফেরি বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত ৩৫ বছর ধরে তিনিও ওই ঘাটে চা-পান বিক্রি করেছেন। সেতু চালু হওয়ায় এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।