চারঘাট উপজেলায় মাইনুল ইসলাম সিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর অলোকার মোড়ের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ তোলেন নিহতের বাবা রিয়াজ উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কম্পুটারে আমাক নাম শুনালো। দেকনু যাঁরা আমার ব্যাটাক মারিছে, তাঁদের অনেকেরই নাম নাই। আমি বুননু, এই কেস আমি করবু না। চল্যা আসিছুনু। ১০-১২ জন পুলিশ ঘির্যা ধইর্যা বলে, “এই চাচা কই যান, মামলা কইরি যান।” এভাবে জোর কইরি আমাক দিয়্যা মামলা করাইছে। এতে জড়িতদের বাদ দেওয়া হইয়্যাছে।’
গত রোববার দুপুরে প্রতিপক্ষ মাইনুল ইসলাম সিলনকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ উদ্দীন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম এজাহারে উল্লেখ করেনি পুলিশ।’
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সিলনের মা কদবানু বেগম ও ছোট ভাই ইব্রাহিম আলী রতন, দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে সিলনের স্ত্রী আলেয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রতিবেশী সাজ্জাদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলন মারা যাওয়ার পরই হত্যার মূল অভিযুক্ত সম্রাটসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারপর পুলিশ রিয়াজ উদ্দীনকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বলে, আসামিরা ধরা পড়েছে। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই মামলা হবে। কম্পিউটারে এজাহার লিখে রিয়াজকে পড়ে শোনানো হয়। তখন রিয়াজ জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকের নাম এখানে নেই। প্রতিবাদ করায় পুলিশ আরও তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু জড়িত বাকিদের মামলায় আসামি করা হয়নি।
রিয়াজ উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসির দেওয়া এজাহার অনুযায়ী মামলা না করলে ছোট ছেলে ইব্রাহিম আলী রতনকে মাদক মামলায় আসামি করা হবে। তখন ভয়ে এজাহারে সই করি। সাদা কাগজেও সই নেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে লাভ আছে? গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’