আগৈলঝাড়ায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা পেল দেড় শতাধিক পরিবার। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এসব মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষেরা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনের কথা ভেবে সরকার এই জাতীয় কল সেন্টারটি চালু করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইউব আলী মিয়া, সিরাজুল হক সরদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
৩৩৩ নম্বরে ফোন দেওয়া ১৫০ জন উপকারভোগীকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা, ২ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি লবণ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য সহায়তা নিতে আসা বাগধা গ্রামের দুই নারী জানান, করোনার মধ্যে কাজ নেই। লজ্জায় কারও কাছে বলতেও পারেননি তারা। ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেওয়ার বিষয়টা জানার পর সেখানে ফোন দেন। ফোন দেওয়ার পর চাল, ডালসহ খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তারা খুশি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরে যারা ফোন করছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে সামাজিকভাবে তারা যাতে হেয় প্রতিপন্ন না হয় সে জন্য পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। খাদ্যসংকটে পড়ে ৩৩৩–এ কল করা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৫০ জনকে এ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেম বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩৩-এ কল করা ব্যক্তিসহ উপজেলার কর্মহীন মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।