চলতি মৌসুমে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। যত দূর চোখ যায় খেতজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি শিষ। সব ঠিক থাকলে সপ্তাহ খানেক পরেই কৃষকেরা নবান্নের আনন্দে ধানখেতে কাঁচি দেবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমি। চাষও হয়েছে আশানুরূপ। কৃষকের ঘরে এই ধান উঠলে এবং কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে নবান্নের আনন্দে মেতে উঠবেন এমনটি আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে কথা হয় উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের আমন চাষি আজিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি এ বছর সাত বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের চাষ করেছেন। তাঁর হিসাব মতে, প্রতি বিঘা রোপা আমন ধান চাষে বোরো ধান চাষের চেয়ে খরচ হয়েছে অর্ধেক কম। তা ছাড়া এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাসায়নিক সারও কম লেগেছে।
পায়রাডাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি আক্কাস আলী বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষে খরচ হয়েছে ২৮-২৯ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দর ধান ওঠার পরেও থাকলে যে ফলন হয়েছে তাতে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।’
মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘দুই বিঘা আমনের খেতে শেষের দিকে কারেন্ট পোকা ও পচা রোগের কারণে চার বার কীটনাশক ছিটাতে হয়েছে। এ কারণে একটু খরচ বেশি পড়েছে। সপ্তাহ খানিক পর ধান কাটব।’
আব্দুস সামাদ বলেন, ‘গত বোরো ও আউশ মৌসুমে ধানের যে দর পেয়েছি সে অনুযায়ী আমন ধানের দাম পেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া আমন চাষের উপযোগী ছিল। তবে শেষ দিকে একটু বৃষ্টির কারণে কারেন্ট পোকা ও পচা রোগ দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের তৎপরতায় কোনো ক্ষতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আমনের ফলন আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’