ঋতু যে বদলেছে টের না পেয়ে উপায় নেই। এই কড়া রোদে ঝলসে যাচ্ছে চৈত্রের দুপুর। তপ্ত রোদ থেকে বাঁচতে মাথার ওপর ছায়া ও প্রশান্তি দুটোই দেয় ছাতা।
বর্তমানে ছাতা কেবল প্রয়োজনেই আটকে নেই, এটি ফ্যাশন অনুষঙ্গও বটে। তাই সবার চেয়ে নিজের ছাতাটি একটু আলাদা আর ফ্যাশনেবল করে তুললে মন্দ কী! একটু বুদ্ধি করে আপনিই সাধারণ ছাতাটিকে বানিয়ে ফেলতে পারেন বাহারি আর ব্যতিক্রমী।
লেস বসানো ছাতা
ছাতার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লেস কিনে ফেলুন। তারপর ছাতার চারপাশে, হাতলে লেস লাগিয়ে নিন। করতে পারেন পছন্দমতো ডিজাইন। লেস সেলাই করে লাগাতে ঝামেলা মনে হলে নো স্টিচ গাম দিয়ে লাগিয়ে নিন। তবে এই ছাতা রোদে ব্যবহার করুন।
ফ্যাব্রিক কালার
ফ্যাব্রিক কালার দিয়ে খুব সহজেই ছাতা বাহারি করে তোলা যায়। এ ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট কালার ব্যবহার করুন। যেমন কালোর ওপর সাদা, হলুদের ওপর ম্যাজেন্টা ইত্যাদি।
জমকালো
দারুণ গর্জিয়াস আইডিয়া! ছাতার ওপর নো স্টিচ গাম দিয়ে মানানসই স্টিকার, ডলার, চুমকি, পাথর ও নানা অলংকারজুড়ে দিতে পারেন।
পুরোনোকে নতুন করে
পুরোনো ছাতার চেহারাই পাল্টে দিতে চান? এ ক্ষেত্রে অবশ্য সাদা, ধূসর বা হালকা রঙের ছাতা হলে আপনার সুবিধা হবে। পুরো ছাতাকে ক্যানভাস ভেবে ফ্যাব্রিক রং দিয়ে নকশা করে ফেলুন।
সাদামাটা, তবে অন্য রকম
অত কিছু করার সময় নেই, কিন্তু ব্যতিক্রম চাই-ই চাই। ফেদার বা তুলার বল ঝোলানো কিছু লেস পাওয়া যায়। মনমতো কিনে ছাতার চারপাশে লাগিয়ে দিন। বলগুলোর মধ্যে দু-একটা করে ছোট্ট ঝুমঝুমি লাগিয়ে দিন। মৃদু বাতাসে আপনার ছাতাও ছন্দ তুলবে।
এক নজরে
একসময় ছাতা ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। পরে এটি ফ্যাশনেরও অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
ছাতার ওপরের অংশে একসময় কাপড়ের পরিবর্তে তালপাতা ও কাঠ ব্যবহার করা হতো।