সড়কে নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানো দড়ি ঝোলাচ্ছিলেন এক কর্মী। এ সময় মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল তিন কিশোর। দড়ি হঠাৎ নিচে পড়ে গিয়ে মোটরসাইকেলে লেগে ছিঁড়ে যায়। ছোট ওই ঘটনায় তিন কিশোরকে আটকে রাখে মারধর করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী। গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নে। স্থানীয় লোকজন তিন কিশোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গতকাল শনিবার তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়।
মারধরের শিকার তিন কিশোর হলো শিহাব হোসেন, ইশরাক হোসেন ও মেহেদী হাসান। এদের মধ্যে শিহাব সাতশৈল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ও এসএসসি পরীক্ষার্থী। অপর দুই কিশোর ইশরাক ও মেহেদির বাড়ি রাজশাহীতে। তারা ওই গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
কিশোর শিহাব জানায়, ‘চেয়ারম্যান খুব ভালো মানুষ এবং তিনি এলে আমাদের ছেড়ে দেবেন বলে বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু তিনি এসে আমাদের চড়-থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে তিনি আমার বুকের ওপর পা তুলে দেন। রোববার (আজ) আমার এসএসসি পরীক্ষা বললেও চেয়ারম্যান কোনো কথা শোনেননি। পুলিশ শুক্রবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে আমরা সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানিয়েছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচার শুরুর দিনই আমার পোস্টার ছেঁড়ার বিষয়টি সমর্থকেরা ভালোভাবে নেননি। তাই তিন কিশোরকে কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তাদের মারার অভিযোগটি সত্য নয়।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। শুক্রবার প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পান।