দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে দুই গ্রামের প্রায় ২০টি গরু মারা যায়। এতে এলাকার অন্য গরুগুলোও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর ও বেতদীঘি ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে এই গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পশু চিকিৎসকদের ধারণা, বিষক্রিয়ার কারণে গরুগুলোর মৃত্যু হতে পারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানে একটি ব্যাটারি কারখানা রয়েছে। ওর পাশে কারখানার বর্জ্য ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে যে গরুগুলো ঘাস অথবা খড় খেয়েছে বিষক্রিয়ার কারণেই ওই গরুগুলোর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জয়পুরহাট থেকে আমাদের একটি বিশেষ টিম আসছে, তারা এসে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।’
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কারখানাটি ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাসুদেবপুর পাকড়ডাঙ্গা নামক স্থানে ফুলবাড়ী-মাদিলা সড়কের পাশের একটি ব্যাটারি তৈরির কারখানা করা হয়। কারখানার বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে ওই এলাকার ঘাস-খড় খেয়ে গরুগুলোর শ্বাসকষ্ট ও পেট ফেঁপে গিয়ে কাঁপতে শুরু হয়। পরে এক-দুই দিনের মধ্যে গরুগুলো মারা যায়।
দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের ফয়জুর রহমান মুকুল বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর গাই বাছুরসহ দুটি গরু মারা যায়। এর আগে ৩০ নভেম্বর তাঁর আরও তিনটি গরু মারা গেছে। একই ভাবে গত ২৭ নভেম্বর একই গ্রামের বাদশা মিয়ার দুটি গরু, সোহেল রানার একটি ও হাফিজের একটি গরুসহ ওই গ্রামে সাত দিনে প্রায় ১০টি গরুর মারা যায়।
প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৫৬৫ জন কারখানার জমির মালিক প্রভাষক দুলাল মোবাইল ফোনে জানান, কারখানার জন্য জমিটি ভাড়া দেওয়া হয়। বেশ কিছু দিন আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের কারণে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি তদন্ত টিম সেখানে যাবে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’