নড়াইলে শিশু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের ১ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের ৫ জন শিশু মারা গেছেন।
পরিবর্তিত আবহাওয়ার ফলে নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট জনিত বিভিন্ন রোগে শিশুদের আক্রান্তের হার আশঙ্কা জনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির ফলে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রোগে ১০ থেকে ১২ বছরের বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। যাদের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ জনকে ভর্তি হতে হয়। গত মঙ্গলবার শিশু ওয়ার্ডে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৫ জন। এদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
হাসপাতালের মাত্র ১৯ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে এ বিপুলসংখ্যক রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকলন না হওয়ায় একাধিক শিশুকে এক বেডে রাখা ছাড়াও মেঝেতে যত্রতত্র বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ডাক্তার নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট স্বজনেরা।
হাসপাতালে ভর্তি শিশু আবিরের মা হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমার বাচ্চার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তাই ওকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তবে হাসপাতালের শয্যা না পেয়ে বারান্দায় কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, শিশু ওয়ার্ডে সিট সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আলিমুজ্জামান সেতু বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৯টির বিপরীতে আমরা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি রোগী ভর্তি করে থাকি। রোগীর স্বজনদের সব সময় আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি শিশুর নাক পরিষ্কার রাখতে এবং বেশি বেশি করে তরল খাবার খাওয়াতে। এ সময় বেশি করে শিশুর যত্ন নিতে হবে।’