ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশনের মাস্টার সমর ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সেলসম্যান হাছান মিয়ার বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারি, যাত্রী হয়রানি, মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবাদকারীদের হয়রানির হুমকিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রেল স্টেশন এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, কসবা পৌর কাউন্সিলর মো. আবু জাহের, মো. ফোরকান আহমেদ, মো. আবেদ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মো. তারু মিয়া, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. হারুনুর রশিদ ও নার্সারী ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল মিয়া।
এ সময় বক্তারা বলেন, স্টেশন মাস্টার সমর দে কসবা যোগদান করার পর থেকেই পছন্দের কালোবাজারিদের দিয়ে টিকিট চোরা কার বারী চক্র তৈরি করেছেন। এই চোরাকারবারি চক্রের মাধ্যমে ১৫০ টাকার টিকিট প্রায় ৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে লোকজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, ‘কিছুদিন আগে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ দুটি টিকিট আমার কাছ থেকে উদ্ধার করে। আমি একজন যাত্রীর হয়ে দুটি টিকিট বিক্রি করে দিচ্ছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্টেশন মাস্টার সমর দে কৌশলে ৩৫টি টিকিট দিয়ে আমাকে পুলিশ ধরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে কসবা সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে তালতলা গ্রামের মো. আবদুল হাকিম বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবি চট্রগ্রামের মহাব্যবস্থাপকের (পূর্বাঞ্চল) কাছে সমর দের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে কসবা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার সমর দের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চট্রগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনছার আলীর বলেন, 'কসবা রেলস্টেশন মাস্টার সমর দের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'