হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘরে বসবাস, আঙিনায় চাষ

কামাল হোসেন, কয়রা

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কয়রা উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৮০টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের জমি ও ঘর পেয়েছে। তারা সেখানে বসবাসের পাশাপাশি আঙিনায় শুরু করেছে সবজি চাষ। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কয়রা উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক জমি এবং দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে আরও ১০টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দুই শতক জমি ও ঘর পাওয়া মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, ‘২০০৯ সালে আমার স্বামী আমার কোলে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। ছেলেমেয়েদের কোনো দিন খোঁজও নেননি। তাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। কী করব, কোনো কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না।’

কোনো উপায় না পেয়ে শাকবাড়িয়া খালের ধারে ছোট একটি খুপরিঘর বেঁধে ছেলেমেয়েদের সেখানে রেখে শুরু করেন পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ। অর্থাভাবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া দূরে থাক, খুপরিঘরটিও ঠিকভাবে মেরামত করার সৌভাগ্য হয়নি। এরপরও স্বপ্ন দেখতেন একদিন নিজস্ব একটি আশ্রয় হবে। সেই স্বপ্ন ২০২১ সালে পূরণ হয়।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের সামনের আঙিনায় বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজির গাছ লাগিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করছি। তা ছাড়া বাড়ির সামনের বারান্দায় বসে কাঁথা সেলাই, শীতলপাটি বানাই, পাশাপাশি দিনমজুরের কাজ করছি। কাঁথা সেলাই ও শীতলপাটি বিক্রির টাকাসহ দিনমজুরের টাকা দিয়ে চলছে সংসার ও ছোট মেয়ের লেখাপড়া। প্রধানমন্ত্রী আমার জন্য এ ব্যবস্থা করায় আমি অত্যন্ত সুখী ও আনন্দিত।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ