সখীপুর উপজেলার বড়চওনা-মল্লিকবাড়ি সড়কের দাড়িকা বাইদে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের কাজ অসমাপ্ত থাকায় এবং ওই সড়কের নেওরার খালের বক্স কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। এতে সখীপুর ও পাশের ভালুকা উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ওই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ অতিরিক্ত ঘুরতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইমপোর্টাল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অন প্রায়োরিটি (আইআরআইডিপি-৩) প্রকল্পের আওতায় বড়চওনা-মল্লিকবাড়ি সড়কের ১ দশমিক ৪১০ কিলোমিটার অংশ পাকাকরণের কাজ চলছে। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম। মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি পাকাকরণের কাজ পায়। পরে মূল ঠিকাদার কাজটি মেসার্স আলম বিল্ডার্সের কাছে হস্তান্তর করে। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
কিন্তু ওই সড়কের দাড়িকা বাইদ এলাকায় একটি কালভার্টের নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকায় এবং নেওরার খালের ওপর নির্মিত বক্স কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছেন আশপাশ ২০ গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণাধীন কালভার্টটি অসমাপ্ত অবস্থায় প্রায় ৪-৫ মাস ধরে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। এতে ওই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ অতিরিক্ত ঘুরতে হচ্ছে। সংস্কার ও দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় বড়চওনা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এখন মৌসুমি ফল বেচাকেনার ভরা মৌসুম। কিন্তু কালভার্ট দুটির কারণে সখীপুরের উত্তরাঞ্চলের অন্তত ১১ গ্রামের মানুষ আম, কাঁঠাল বাজারজাত করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
দেবরাজ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি তাঁরা মিয়া বলেন, ওই সড়কে দিয়ে ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি, সিটাল, আউলিয়ারচালা, কাকেরমোড়, সোনাখালি, দৌলা, নয়াপাড়া, মহিষগাড়া গ্রামের লোকজন চলাচল করে। কিন্তু কালভার্ট দুটির কারণে দুই উপজেলার অন্তত ১৮ থেকে ২০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দাড়িকা বাইদের ইউ কালভার্টের নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
একই সড়কের নেওরার খালের ওপর ভেঙে যাওয়া বক্স কালভার্টটি জিওবি (গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ) সংস্কার কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।
জানতে চাইলে মেসার্স আলম বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মাহবুব আলম বলেন, শ্রমিকসংকটের কারণে কাজটি সময়মতো শেষ করা হয়নি। তবে কাজটি দ্রুত শেষ করা হবে।