সাতক্ষীরার সব বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে গণমুখী ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তাঁরা। এ সময় আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সরকারকে এসব উদ্যোগ গ্রহণে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।’ ৭১-এর বধ্যভূমি ও স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার ৩৩৫ জন মানুষ ভারতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির কারণে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার-আলবদররা তাদের ধরে দীনেশ কর্মকারের বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। পরে নৃশংসভাবে তাঁদের হত্যার পর সেখানেই দাফন করে হানাদারেরা। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সেই বধ্যভূমিটির সংরক্ষণ হয়নি। অবিলম্বে দীনেশ কর্মকারের বাড়ির বধ্যভূমিসহ সাতক্ষীরার সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে হবে। কেন এসব নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে সরকারকে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, প্রতিবছর স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে আর বধ্যভূমি দখল হচ্ছে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের মধ্যে যদি বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ না নেয় তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহম্মেদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে দীনেশ কর্মকারের বাড়ির পাশের বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।