হোম > ছাপা সংস্করণ

‘কোনঠে সেই সরকারি লোক’

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

‘বাহে, টেলিভিশনোত কইছে তেলের দাম কমছে। কিন্তু মোরটে যে বেশি নেইল। দোকান অ্যালাক কনু, তা মোক কওছে এটে দাম কমতে সময় নাগবে। সরকারি লোক নাকি হাটোত দোকানিরা বেশি দাম নিলে ফাইন (জরিমানা) করে, ধরি নিয়া যায়। তা কোনঠে সেই সরকারি লোক, হামার এটে তো নাই।’ ইকরচালী বাজারে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কথাগুলো বলছিলেন জুম্মাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আয়না হোসেন।

ওই হাটে কথা হয় ছুট মেনানগর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘দ্যাশোত যে জিনিসের দাম একবার বাড়ে, তাক অত সহজে কমে না। সরকার যদিও কমায়, দোকানিরা কমায় না। গত সোমবার রাইতোতে মোরটে আধা লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৯০ টাকা নিছে। তাহইলে কন কেমন করি দাম কমিল।’

শুধু আয়নাল হোসেন ও আব্দুর রহমান নয়, এমন আক্ষেপ হাজারো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। হাটবাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরে প্রশাসনের তেমন কোনো তদারকি না থাকায় ভোক্তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সংসার চালাতেও হিমশিম অবস্থা।

সারা দেশের মতো গতকাল মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ইউএনও রাসেল মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাইজিদ বোস্তামী, সাবিনা ইয়াছমিন, তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নীল রতন দেব, ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর হক সরকার, ইদ্রিস উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, আল ইবাদত হোসেন পাইলট, কুমারেশ রায়, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

উপজেলার অন্তত পাঁচটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই মূল্যতালিকা টাঙানো নেই। বিক্রেতারা তাঁদের মুখের কথাতে মূল্য বলে পণ্য বিক্রি করছেন।

বিকেল ৫টায় তারাগঞ্জ বাজারে কথা হয় বাজারঘেঁষা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই, আইনের লোক যদি মাসেও এক দিন হাটোত ঘুরে, তাইলে হামারটে দোকানিরা বেশি দর নিবার পাবার নেয়। ভয়োতে থাকবে। কয়টার জিনিস, যে কয় টাকা নেয়ছে তাক কবারে পাওছি না। দোকানগুলাত তো দাম নেখা নাই। তোমরা সরকারোক কনতো হামার এটে লোক পাঠাউক।’

উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করার কথা বলা আছে। উপজেলা পর্যায়ে কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যসচিব ইউএনও। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির মেয়াদ ধরা হয়েছে আড়াই বছর। উপজেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ ১৮ শ্রেণির সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা কমিটি গঠিত হবে।

জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাগঞ্জে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে তো দূরের কথা উপজেলা পর্যায়েও আছে কি না, তা তাঁরা জানেন না। ফলে ভোক্তা অধিকার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। এই সুযোগে বিক্রেতারা ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন করছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ