কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়া দিয়ে সরকারি রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও রাস্তাটি দখলমুক্ত হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামের আমসা বাজার থেকে নজরমামুদ পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি সরকারি নথিভুক্ত।
এই রাস্তা হয়ে ফুলবাড়ী সদর, খড়িবাড়িহাট, বড়লই, বড়ভিটা, নওদাবশ, নেওয়াশী ও পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার লোকজন যাতায়াত করেন।
সম্প্রতি রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকেরা রাস্তার বিভিন্ন স্থান নিজেদের দাবি করে রাস্তা কেটে, বাঁশ ও টিনের বেড়া দিয়ে এবং গাছ লাগিয়ে দখল করে নিয়েছেন। এতে রাস্তাটি সরু হয়ে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশের কয়েকজন বাড়িওয়ালা পরস্পরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে রাস্তাটি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে নজর মামুদ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাকিম ও জহুর আলী এবং বড়লই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের লোকজন কৃষিকাজ, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, হাটবাজারে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কয়েকজন রাস্তাটি দখল করে আছেন। মাঝেমধ্যে তাঁরা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। গাড়ি চলার সুযোগ না থাকায় দূরের জমি থেকে ফসল আনা যায় না। অটোরিকশা চলাচল করতে না পারায় আমাদের খুবই কষ্ট করে হাটবাজারে মালামাল নিয়ে যেতে হয়। বিবাদের কারণে রাস্তা দখল হওয়ায় চেয়ারম্যান-মেম্বরেরা রাস্তায় মাটি ভরাটও করেন না।
জানা গেছে, রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়াকে বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন। এ নিয়ে বৈঠক করা হলেও অমীমাংসিত অবস্থায় বৈঠক ভেঙে যায়। এরপর অনেক দিন পার হলেও রাস্তাটি দখলমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটি দখলমুক্ত করে মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ দূর করতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ‘ওই এলাকা পরিদর্শন করে রাস্তাটি দখলমুক্ত করা হবে।’