চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আবদুল খালেক ও সোলতান মাহমুদ টিপু হত্যা মামলার ১১ আসামি এখনো অধরা রয়েছেন। পুলিশ ১৬ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল সোমবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। বিকেলে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের গেটের সামনের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়।
গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বাঁশখালী দক্ষিণ জলদী মনছুরিয়া বাজার এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আবদুল খালেক ও সোলতান মাহমুদ টিপু। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. বাহাদুর (৩২), মঞ্জুরুল আলম (৪০), মো. সিদ্দিক (৫০), জাকের আহমদ (৪৬) ও মো. রাসেল ইকবাল (২৬)।
বাঁশখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আবদুল খালেকের মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী হালেছা বেগম, বোন রিনা আকতার, চাচাতো ভাই এনাম উদ্দীন, বোন জামাতা মাহমুদুল ইসলাম, নিহত টিপুর স্ত্রী ববি আকতার, ভাই মোহাম্মদ হেফাজ, ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ, ফাহিম চৌধুরী, অমিত চৌধুরী অমি, আতাউল্লাহ আজাদ প্রমুখ।
পরে এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও থানার পরিদর্শক মো. কামাল উদ্দীনের বরাবর স্মারকলিপি দেন আবদুল খালেক ও সোলতান মাহমুদ টিপুর পরিবারের সদস্যরা।
খালেকের মা মমতাজ বলেন, ‘আমার ছেলে আবদুল খালেক ও নাতি টিপুকে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই।’