হোম > ছাপা সংস্করণ

অসময়ে বৃষ্টি, ফসলের ক্ষতি

রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও

‘যদি বর্ষে পৌষে, কড়ি হয় তুষে; যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ’। অতি সত্য ক্ষণার বাণী। প্রকৃতির এমন আচরণে এখন গফরগাঁওয়ের কৃষকের মাথায় হাত। পৌষের তীব্র শীতের মধ্যেও দুদিন ধরে অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষক। বিশেষ করে রবি ফসলের চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, অল্প বৃষ্টিতে উপকার হতে পারে ফসলের। এরপর ভারী বৃষ্টিপাত হলে আরও ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে প্রকৃতির এমন বিরুপ আচরণের সময়ে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে জরুরি সময়ে কৃষকেরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের খামখেয়ালিতে কৃষকে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ফসল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যেসব খেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। কয়েকজন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত সবজিও দেখান। আরও বৃষ্টি হলে তাঁরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষক মনজুরুল হক, আব্দুর রশিদ, বাহার উদ্দিন ও আফতাব উদ্দিন বলেন, আমরা শীতের সবজি চাষ করেছি। কিন্তু পরামর্শ দেবেন এমন লোক আর পাই না। পরামর্শ না পেয়ে স্থানীয় ওষুধ বিক্রির দোকানিদের পরামর্শ নিয়ে কোনোভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বাঁশিয়া এলাকার কৃষক হানিফা বলেন, ‘দুদিনের বৃষ্টির কারণে সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। ভারী বৃষ্টি হলে পানি জমে ক্ষতি হতে পারে। এই সমস্যার জন্য পরামর্শ নিতে হলে ২০ কিলোমিটার দূরে কৃষি কার্যালয়ে যেতে হবে। স্থানীয়ভাবে কৃষি বিভাগের লোকজন থাকলেও তাঁরা মাঠে আসেন না।’

রসুলপুর ইউনিয়নের কৃষক বজলু মিয়া এক একর জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এখন মুকুল এসে চারা মরে যাচ্ছে, এ বিষয়ে কোথাও পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

তবে এই বৃষ্টিতে রবি ফসলের খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নাই বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. লুৎফে আল মুঈজ। তিনি বলেন, স্বল্প বৃষ্টি সেচের উপকার হয়। আরও ভারী বৃষ্টি হলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের যেন তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেন এবং সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে পেতে পারেন, সে ব্যাপারে সাহায্য করা কর্মকর্তাদের কাজ। তবে চাহিদার তুলনায় লোকবল সংকট রয়েছে।’

কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় রবি ফসলের মধ্যে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ৩৩০ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ৩৫০ হেক্টর। গমের লক্ষ্যমাত্রা ১৫৫ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ১৫০ হেক্টর। ভুট্টা ১৭০ হেক্টরে অর্জিত হয়েছে ১৫০ হেক্টর। আলু ৩২৫ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৩৩০ হেক্টর হয়েছে। আর সবজি ২ হাজার ১১৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ১৫০ হেক্টর। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরিষা, বেগুন, আলু, মরিচ, শিম ও শাকসবজি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ