হোম > ছাপা সংস্করণ

আরও একটি ঢাকার কথা ভাবতে হবে

সম্পাদকীয়

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির নানা তথ্য, সূচক নিয়ে আমরা যখন খুশিতে আটখানা, তখন তীব্র ও অসহনীয় যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। ‘রাতে মশা,

দিনে মাছি, এই নিয়ে ঢাকায় আছি’—একসময় এটা ছিল ঢাকার নাগরিক বিড়ম্বনার ছড়া। এখনো মশার উৎপাত আছে, তবে তার চেয়ে বেশি কষ্ট যানজটে দীর্ঘ সময় অপচয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মতে, এখন যানজটের কারণে ঢাকায় দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে বছর শেষে যানজটে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৮ সালে যানজটে দিনে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা ক্ষতি হয়েছিল। তখন এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিবছর যানজট বাড়ছে, বাড়ছে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও। এই ক্ষতির পরিমাণ কমানো গেলে আমাদের উন্নয়নযাত্রা যে আরও গতি পেত, তা নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ আছে কি?

বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব মতে, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। অর্থাৎ দেড় দশকে ঢাকায় যানবাহন চলাচলের গড় গতি কমে গেছে ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারের মতো। এই গতি কমে আসার অনেক কারণের অন্যতম দুটি কারণ হলো, ঢাকায় মানুষ এবং যানবাহনের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

ঢাকায় গত এক দশকে বাস-মিনিবাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল বেড়েছে অনেক বেশি। গত ১০ বছরে রাজধানীতে মোটরসাইকেল বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। একই সময়ে ডবল ও সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। ২০১০ সালে ঢাকায় বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩১৩। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৪৮৪টিতে। অর্থাৎ বাসও দ্বিগুণ হয়েছে।

সরকারি হিসাবেই দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ২ শতাংশই বাস করে ঢাকায়, যা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ে ওই দেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ বাস করে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধান কোনো শহরেই জনসংখ্যার ২ শতাংশের বেশি বাস করে না। অথচ কাজের প্রয়োজনে মানুষের ঢাকামুখী ঢল কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। মানুষ ও যানবাহনের তুলনায় ঢাকার জায়গা কমে গেছে। তাই এখন গুরুত্ব দিয়ে বিকল্প ভাবতে হবে। বিকল্প হিসেবে আমাদের আরও একটি নতুন ঢাকা বানানো জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সচিবালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রেসক্লাব বর্তমান জায়গা থেকে সরিয়ে জুতসই কোথাও না নিলে স্বস্তি পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ