ভালো মানের পেস বোলার পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের হাহাকার খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ছবিটা এখন বদলেছে। দলে এখন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলামদের মতো একঝাঁক পেসার।
চোট কাটিয়ে সাদা বলে নিয়মিত হয়েছেন তরুণ হাসান মাহমুদ। লাল বলে নিয়মিত খেলছেন খালেদ আহমেদ। দলের সঙ্গেই থাকছেন রেজাউর রহমান রাজা। শুধু জাতীয় দল নয়, এর আশপাশেও রিপন মণ্ডল, মুশফিক হোসেনের মতো পেসাররা ভবিষ্যতের হাল ধরতে প্রস্তুত হচ্ছেন। এই তো কদিন আগের কথা। চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ খেলতে পারেননি। পিঠের চোট ভালোই ভোগাচ্ছিল এই পেসারকে।
চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে অবশ্য খেলেছিলেন তাসকিন। চাইলে টেস্টেও খেলানো যেত তাঁকে। তবু টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি। কয়েক বছর পেছন ফিরে তাকালেও এভাবে কি ভাবার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের?
দলে ছিলেন না মোস্তাফিজও। কারও অভাব বুঝতে দেননি দুই পেসার ইবাদত ও খালেদ। ইবাদত অবশ্য পিঠের চোটে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টের দলেও নেই তিনি। তবু কি আগের মতো সেই হাহাকার শোনা যাচ্ছে? ঢাকা টেস্টে হয়তো তাঁর জায়গা নেবেন তাসকিন। বিকল্প হিসেবে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রেজাউর। মাঠের পারফরম্যান্সে পেসাররা এখন বাংলাদেশ দলের পথপ্রদর্শক। এই বছর তিন সংস্করণে মিলিয়ে পেসাররা ১৬৭ উইকেট নিয়েছেন। কোনো বছরে এটাই বাংলাদেশের পেসারদের সেরা সাফল্য।
ব্যাটাররা যখন ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না, পেসাররা পদপ্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। আগে বোলারদের উইকেট নেওয়ার সামর্থ্যের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠত। বিশেষ করে টেস্টে।
এখন তাঁরা এই কাজটা প্রায় নিয়মিতই করছেন। বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ এই সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে আসা ম্যাট কবির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলছিলেন, ‘আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা পেস বোলিং ইউনিট। ইবাদত, খালেদ, শরীফুল, তাসকিন, হাসান মাহমুদ—এক্সাইটিং একটা গ্রুপ। ফ্ল্যাট উইকেটেও বাড়তি গতি দিয়ে ইবাদত, তাসকিন, খালেদ পার্থক্য তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।’
পেসারদের মতো এখন ব্যাটাররা ধারাবাহিক জ্বলে উঠলেই হয়।