বেশ কিছুদিন আগে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে গুমের শিকার রাজনৈতিক কর্মী, সংগঠক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদর দপ্তরের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত সেই কুঠুরিতে বছরের পর বছর মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগও শোনা গেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর আলোচনায় আসে আয়নাঘর। গুম হওয়া অনেকেই মুক্তি পেয়ে ফিরে আসেন পরিবার-পরিজনদের কাছে। এবার এই আয়নাঘরের কাহিনি আসছে সেলুলয়েডের পর্দায়। ‘আয়নাঘর’ নামে সিনেমা বানাবেন জয় সরকার।
গত শনিবার সিনেমাটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করেছেন নির্মাতা জয় সরকার। আগামী নভেম্বরে সিনেমার শুটিং করতে চান তিনি। সিনেমার অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের নাম না জানালেও নায়িকা হিসেবে নির্মাতার পছন্দ ছোট পর্দার নিয়মিত মুখ কেয়া পায়েলকে। জয় সরকার বলেন, ‘আমার প্রথম সিনেমা “ইন্দুবালা”র নায়িকা ছিলেন কেয়া পায়েল। তাঁকে নিয়েই এবারের সিনেমাটি বানাতে চাই। এ ছাড়া আরও তারকা অভিনয়শিল্পীদের দেখা যাবে।’
তবে সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি নির্মাতার। জয় সরকার বলেন, ‘এখনো কেয়া পায়েলের সঙ্গে কথা হয়নি। সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। আয়নাঘরের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে গল্প সাজাতে চাই। আমি চাই, সত্যটা উঠে আসুক। শিগগির অভিনেত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসব শিডিউল নিতে।’
এ বিষয়ে অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই মুহূর্তে সিনেমা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমিও কয়েকজনের কাছে সিনেমার খবরটি শুনেছি। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে পরিচালক বা প্রযোজক কারও আলোচনা হয়নি। আমি এখন নাটক নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। আগামী কয়েক মাসের শিডিউল দেওয়া আছে নির্মাতাদের। কদিন পরেই নাটকের শুটিং করতে দেশের বাইরে যাওয়ার কথা রয়েছে।’ কেয়া পায়েল জানান, আগামী মাসে তিনটি নাটকের শুটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তিনি। সব কটি নাটক পরিচালনা করবেন ওসমান মিরাজ, সহশিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান। দেশে ফেরার পরেই আরও কয়েকটি নাটকের শুটিং করার জন্য শিডিউল দেওয়া আছে পায়েলের।