ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সফিকুল ইসলাম। তাঁর খামারের ডিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে হাজার জোড়া কোয়েল পাখির ছানা বিক্রি করছেন তিনি।
এ ছাড়া সফিকুলের কোয়েল পাখির খামারে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার যুবক আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ খামারে সকালে এসে কাজ করে বিকেলে বাড়ি ফেরেন। এতে বেকারদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ভ্যানচালক কুদ্দুস আলী জানান, আড়াই একর জমির ওপর নির্মিত খামারটিতে গ্রামের ৭ থেকে ১০ জন যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খেয়ে-পরে বেশ ভালোই আছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এ ছাড়া অনেক ভ্যানচালকও এখানে কাজ করছেন। প্রতিদিন ৫০০ টাকা পাওয়ায় মানুষ পরিবহন করা বাদ দিয়ে নেমে পড়েছেন এ কাজে।
খামারের মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে প্রথম পোলট্রি ও লেয়ারের ব্যবসা শুরু করলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ২০০৭ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর শখের বশে নতুন করে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার। তখন থেকেই তিনি এ ব্যবসা ধরে রেখেছেন এবং সফল হয়েছেন। পোলট্রি ও লেয়ারের চেয়ে কোয়েল পাখির খামারে ঝুঁকি কম ও লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় অনেকেই এখন কোয়েল পাখির খামার তৈরির কথা ভাবছেন। প্রতিদিন ডিম আর কোয়েল বিক্রি করে আয় প্রায় তিন হাজার টাকা। প্রতি মাসে হাজার জোড়া কোয়েল পাখির ছানা বিক্রি করা যাচ্ছে।