ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনী সহিংসতায় খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত হারান মন্ডলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সারুটিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কাতলাগাড়ি আবাসনের হারান মন্ডল নিহত হন। গত শনিবার ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ভাটবাড়িয়া গ্রামের জসিম বিশ্বাস নামে নৌকার আরেক সমর্থককে।
এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপু বলেন, ‘প্রতিপক্ষ পরাজয় নিশ্চিত জেনে নিজেই তাঁর সমর্থকদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আমার ও আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা করেছেন। আমি ও আমার কোনো সমর্থক এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই। সুষ্ঠু তদন্ত করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।’
নৌকার সমর্থক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হারান খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ১৯৭ জনের নামে মামলা করেছেন। জসিম খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।