গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রেম করে বিয়ের ১০ মাসের মাথায় গত শুক্রবার রাতে খুন হয় মারুফা আক্তার (১৪) নামের এক বাল্যবধূ। এ ঘটনায় তার স্বামী ইমন হোসাইনকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। মারুফাকে হত্যার কথা ইমনই জানিয়েছেন তাঁর শ্বশুরকে।
মারুফা আক্তার কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামের মাসুদ রানার দ্বিতীয় মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শ্রীপুরের বরমী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গ্রেপ্তার ইমন বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
মারুফার বাবা মাসুদ রানা বলেন, ‘মারুফা ছোট শ্রীপুরে তার নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। ইমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর প্রায় ১০ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু ইমনের পরিবারের লোকজন এ বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে ইমনের বাড়িতে নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হতো।’
মাসুদ বলেন, ‘দেড় মাস আগে ১০ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে মারুফা আমাদের সঙ্গে থাকে। পরে ইমন মারুফাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলে মারুফা তাতে সাড়া দেয়নি। গত শুক্রবার দুপুরে ইমন আমাদের বাড়িতে আসে। রাতে সে মারুফার কক্ষে ঘুমাতে যায়।’
ভুক্তভোগী বাবা বলেন, ‘শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খোলা দেখে সেখানে গিয়ে হয়ে মারুফার নিথর দেহ দেখতে পাই। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে ইমন আমাকে ফোন করে বলে, ‘‘আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এখন আমিও মরে যাব’’।’
মারুফার বান্ধবী লিজা বলেন, ‘শনিবার সকালে ইমন ফোন করে বলে, তোমার বান্ধবী আমার সঙ্গে সংসার করবে না। সকাল হলেই আমাকে ডিভোর্স দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল। তাই তাকে গলা টিপে হত্যা করেছি।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, মরদেহের গলায় দাগ দেখে এটাকে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বামী ইমনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।