শিমরাইল-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী পুল বাসস্ট্যান্ডে সড়কের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এ এলাকার দোকানি ও বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। পরিবেশদূষণের পাশাপাশি আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধে এই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কদমতলী পুল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকে রয়েছে সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজ, এম ডব্লিউ হাইস্কুলসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া রয়েছে আবাসিক এলাকা ও একাধিক ছোট-বড় ক্লিনিক। কদমতলীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ক্লিনিকের বর্জ্য ফেলায় এ সড়কের পাশ যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের ছাত্র আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কয়েকজন বন্ধু মিলে অটোতে করে কলেজে আসি। বাসস্ট্যান্ডে অটো থামতেই ময়লার দুর্গন্ধ আসে প্রচুর। আমরা সবাই তাড়াতাড়ি রাস্তা পাড় হয়ে চলে যাই। তবে আমাদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হয় বাসায় যাওয়ার সময়। অটোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তখন ময়লার দুর্গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না।’
কদমতলী প্রধান মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘বাজারের লোকজন সব বর্জ্য এই রাস্তার পাশে ফেলে। এতে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
খাদিজা আক্তার। পেশায় একজন পোশাককর্মী। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে অফিসে আশা-যাওয়া করি। সকালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধের কারণে দাঁড়িয়ে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, এ থেকে কবে যে আমরা মুক্তি পাব জানা নেই।’
এদিকে কদমতলী পুল বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের কয়েকজন দোকানদার ও হোটেল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা রাস্তার পাশে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিক ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর দিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। আপনি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপনের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।