পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সব পদের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ ডিসেম্বর সকালে নির্বাচনী প্রচারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহতের ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান গতকাল সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত গত রোববারের এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউপিতে সব পদে (চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য) নির্বাচন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর সকালে ভাড়ারা ইউপি নির্বাচনের প্রচার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৩৫) নিহত হন। স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের সমর্থক ১৫ / ২০ জন নির্বাচনী প্রচারে বের হন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ সময় সুলতান মাহমুদের ভাতিজা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুপক্ষের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়। তাঁদেরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার পথে নাটোরের বনপাড়া এলাকায় পৌঁছার পর ইয়াসিন আলমের মৃত্যু হয়।