লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় আট কিলোমিটার দূরত্বের এক সড়কে ১৮টি বাঁক। এসব বাঁকে বাড়িঘরের কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোড় থেকে চামটা হাটের দূরত্ব আট কিলোমিটার। ওই ১৮টি বাঁকের মধ্যে ছোট অনেক বাঁক রয়েছে। ১২ ফুট প্রশস্তের সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ট্রাক, ট্রাক্টর, রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নছিমন-করিমন। চার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ১৪টি বাঁক। এর ১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়দের দাবি, ওই বাঁকগুলো সোজা করা গেলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে তেমনি কমে আসবে দূরত্ব ও সময়ের অপচয়।
জানা গেছে, চামটা হাট থেকে উপজেলা সদরে যোগাযোগের জন্য ভোটমারী রেলস্টেশন ও দলগ্রাম ইউনিয়নের কালভৈরব হয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বের দুটি সড়ক রয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে সময়ের অপচয় বাড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে চামটাহাট সড়কটি ২০১১-১২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে পাকা করা হয়। কিন্তু পাকাকরণ হলেও বাঁকগুলো ঠিক না করার কারণে সময়ের অপচয় ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মানুষের। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের কারণে সবকটিতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।
চামটা হাটের ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জানান, উপজেলা সদরে যোগাযোগের জন্য প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে মোটরসাইকেলে করে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু মাত্র আট কিলোমিটার সড়কে ১৮টি বাঁকের কারণে সময়ের অপচয় যেমন বাড়ে তেমনি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। অথচ সড়কটি মেরামতের সময় জমি অধিগ্রহণ করে বাঁকগুলো সংস্কার করা গেলে মানুষ উপকৃত হতেন।
তুষভান্ডার বাজারের অটোরিকশা চালক সোলায়মান আলী জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে চামটা হাটে যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। এমনিতেই অনেক বাঁক। এর ওপর সড়কটি মাত্র ১২ ফুট প্রশস্ত। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান রাস্তাটিতে অনেক বাঁক আছে জানিয়ে বলেন, ‘সড়কটির ম্যাপ অনুযায়ী পাকাকরণ করা হয়েছে। সরকার চাইলে রাস্তাটি সোজা করা সম্ভব।’