নার্সারি ব্যবসা করে নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শীলডোয়ার গ্রামের আব্দুল জলিলের। এলাকায় একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এখন পরিচিত তিনি। একসময়ে অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করলেও এখন স্ত্রী ও ১২ সন্তান নিয়ে সচ্ছলভাবে দিন যাচ্ছে তাঁর।
আব্দুল জলিল জানান, ১৯৭৫ সালের দিকে তিনি সুনামগঞ্জ শহরে কৃষি মেলাতে যান। সেখান থেকে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শেই নার্সারি ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন। শুরুতে জায়গা সংকট থাকার কারণে নানান সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। বর্তমানে প্রায় ৫৫ শতক জায়গা নিয়ে তাঁর নার্সারি।
শুরুতে বাড়ির পাশে অল্প জায়গাতে নার্সারি ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর আব্দুল জলিলকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৪৫ বছর ধরে নিজের হাতে চারা তৈরি করে সরবরাহ করছেন বিশ্বম্ভরপুর অন্যান্য উপজেলায়। অনেকেই আবার দূরদূরান্ত থেকে এই বাগান দেখতে আসেন। আবার কেউ কেউ আব্দুল জলিলের মতো নার্সারি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রথম দিকে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে নার্সারির পেছনে। অভিজ্ঞতার কারণে এখন আর খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না। আমার নার্সারিতে তিনজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। তাঁরা নার্সারির পরিচর্যা করেন।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নয়ন মিয়া (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, আব্দুল জলিলের নার্সারিতে উৎপাদিত চারার বেশ সুনাম রয়েছে।