মাঠজুড়ে হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলি জমি। চোখের দৃষ্টি যত দূর যায় কেবল হলুদ আর হলুদই দেখা যায়। হলুদের এই সমারোহ বলে দিচ্ছে চলতি বছর কুড়িগ্রামে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তবে চাষের লক্ষ্যমাত্রা এখনো পূরণ হয়নি জেলায়।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। আরও চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বুধবার জেলার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম জানান, এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। তবে এঁটেল-দোআশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়। আর বেশি কুয়াশা হলে সরিষা খেতের ক্ষতি হতে পারে। সরিষার বীজ জমিতে বোনার পর থেকে তিন মাসের মতো সময় লাগে পাকতে। সরিষার বোনার পর ফুল আসে এক মাস পর। দেড় মাস পর ফুলে সরিষা ধরে।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৪ একর জমিতে সরিষা চাষ করছি। ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার যদি ভালো থাকে তাহলে ২ হাজার টাকা মণে বিক্রি করতে পারব। তা ছাড়া এবার বন্যায় আমন চাষে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
বানিয়াপাড়া গ্রামের খালেক বলেন, ‘আমার সরিষা খেত খুবই ভালো হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আর বাজারে যদি দাম ভালো হয় তাহলে লাভ হবে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কুড়িগ্রামে সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার কারণে সরিষা চাষ একটু দেরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’