রংপুরের তারাগঞ্জে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণী (২৫) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় শহিদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহিদুল উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার আরজিতে জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে বাড়িতে রেখে তাঁর মা-বাবা অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে যেতেন। শহিদুল ইসলামের নেপিয়ার ঘাস খেত আছে। ঘাস পরিচর্যার জন্য নিয়মিত খেতে যেতেন শহিদুল। ওই প্রতিবন্ধীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় ডেকে এনে ঘাস খেতে ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর শরীরে অন্তঃসত্ত্বার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে নেন অভিভাবকেরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানান।
ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা বলেন, ‘মুই পেটের জ্বালায় মাইনসের বাড়িত কাম করো। পাগলি বেটিটাক বাড়িত একলা থুইয়া যাও। এখন ছাওয়াটার পেটোত বাচ্চা। মোর ছাওয়াটার সর্বনাশ শহিদুল করছে। মোক বেটিটা শহিদুলের কথা কওছে। মুই এর বিচার চাও।’
জানতে চাইলে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শহিদুল নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’