ময়মনসিংহে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুটি নকল স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার হরিরামপুর এলাকার বাদল চৌহান ও নগরীর দিঘারকান্দা এলাকার মো. ফেরদৌস (৩০)। এর আগে গত সোমবার বিকেলে নগরীর শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১৪ সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘটনার দিন রোকসানা বেগম নামে এক নারীর নগরীর কৃষ্টপুর বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফুলপুরে যেতে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে আসেন। এ সময় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কোথায় যাবেন, জিজ্ঞাসা করেন। পরে ওই নারী ফুলপুর যাবেন বললে তাঁকে অটোরিকশায় উঠতে বলেন।
বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, ওই চালকের সঙ্গে প্রতারক চক্রের যোগসাজশ আছে, এমন চারজন আগে থেকেই যাত্রী বেশে অটোরিকশায় বসে ছিলেন। পরে ওই চারজন ও নারীকে নিয়ে ফুলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন চালক। পথিমধ্যে যাত্রীবেশে বসে থাকা বাদল চৌহান দুটি নকল স্বর্ণের বার বের করে নিজেদের মধ্যে বলতে থাকেন, দুটি স্বর্ণের বার অটোরিকশার সিটে পেয়েছেন। একপর্যায়ে ওই নারী স্বর্ণের বার দুটি দেখতে চান। বাদল চৌহান দেখানো যাবে না বলে লুকিয়ে ফেলেন। পরে কৌশলে ওই নারীর কাছ থেকে স্বর্ণের কানের দুল, একটি চেইন ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে নকল স্বর্ণের বার দুটি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চান প্রতারকেরা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ওই নারী প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দেন। এ সময় প্রতারকেরা শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকায় অটোরিকশা থামিয়ে পালাতে চাইলে ওই নারী দুই প্রতারককে জাপটে ধরে চিৎকার দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে বাদল চৌহানসহ দুজনকে ধরে ফেলেন। অপর দুজন কানের দুল, স্বর্ণের চেইন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে ওই এলাকায় টহলে থাকা র্যাব ১৪ এর একটি দল এসে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁরা এভাবে প্রতারণা করে আসছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।