হোম > ছাপা সংস্করণ

এখনকার লড়াই বৈষম্যের বিরুদ্ধে

বিভুরঞ্জন সরকার

ডিসেম্বর মাস এলেই আমার কাছে তিন বছরের তিনটি ডিসেম্বরের স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনটি ডিসেম্বরের তিন ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছিল। আমাদের দেশের রাজনীতিতে বড় অভিঘাত তৈরি করেছিল। ডিসেম্বর আমাদের কাছে বিজয়ের মাস হিসেবে পরিচিত, ডিসেম্বর মাসই বিজয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। আবার ডিসেম্বরেই আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ডিসেম্বর এলে আমরা যেমন বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করি, শহীদদের স্মরণ করি, তেমনি অর্জিত বিজয়কে কতটুকু সংহত করতে পেরেছি, তার একটি খতিয়ান করারও চেষ্টা করি।

পেছন ফিরে তাকালে প্রথমেই মনের পর্দায় উজ্জ্বল হয়ে ভাসে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের কথা । ওই বছর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এবং প্রত্যাশার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল। পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের হকদার হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগের একচেটিয়া সাফল্য সম্পর্কে পাকিস্তানি শাসকদের কাছে আগাম তথ্য থাকলে হয়তো নির্বাচনই হতে দিত না তারা। শেখ মুজিবের দল নির্বাচনে ভালো করবে, তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে, এটা বুঝলেও পাকিস্তানিরা ভাবতে পারেনি, আওয়ামী লীগ ছাড়া পাকিস্তানের পূর্ব অংশে আর কোনো দল মানুষের সমর্থন পাবে না।

শেখ মুজিব তাঁর জীবনসাধনার মধ্য দিয়ে, ক্রমাগত জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এগিয়ে নিতে দৃঢ়চিত্ত থেকে বাঙালির কাছে যে মুকুটহীন রাজায় পরিণত হয়েছিলেন, সেটা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মোটা মাথায় ঢোকেনি। শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে তাঁকে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বানিয়ে শাসকগোষ্ঠী চরম ভুল করেছিল। তারা বানিয়েছিল প্রতিপক্ষ আর বাঙালি তাঁকে নিয়েছিল আপনপক্ষ করে।

১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিব কার্যত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেছিলেন। আগরতলা মামলার পর তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কেবল সামরিক একনায়ক আইয়ুব খানের শাসন অবসান হলো না, পাকিস্তান রাষ্ট্রযন্ত্রই নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। শেখ মুজিব বাঙালির কাছে বরিত হলেন ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে। শুরু হলো এক নতুন ইতিহাস নির্মাণের যাত্রা।

আইয়ুব পদত্যাগ করলে সেনাপ্রধান আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা গ্রহণ করে নির্বাচনের আয়োজন করতে বাধ্য হলেন। নানা বিধিনিষেধও জারি করলেন। তবে সত্তরের নির্বাচনের ফলাফল শাসকগোষ্ঠীর কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। সংরক্ষিত ১৩ নারী আসনসহ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যসংখ্যা ছিল ৩১৩। ৩০০ আসনের মধ্যে পূর্ব অংশে ছিল ১৬২ আর পশ্চিমে ১৩৮। নারী আসন পূর্বে ৯ ও পশ্চিমে ৬। গোটা পাকিস্তানে বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় এখানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসনসংখ্যা বেশি ছিল। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও বাঙালি ছিল শোষিত-বঞ্চিত। পাঞ্জাবি শাসকেরা সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করেছিলেন।

৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় ১৬২ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে বিজয়ী হয়ে নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড তৈরি করে। পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৮১টি আসন পায়। বাকি আসনগুলো পেয়েছিলেন অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগের বাইরে দুটি আসন পেয়েছিলেন ময়মনসিংহর একটি আসনে পিডিপির নুরুল আমিন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজা ত্রিদিব রায়। মনে রাখতে হবে, এই দুজনই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন।

পূর্ব বাংলায় বিভিন্ন ইসলামি দল পাঁচ শতাধিক প্রার্থী দিলেও একটি আসনেও জয় পায়নি। তবে তারা ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে, পশ্চিম পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ৯ জন প্রার্থী দিলেও কোনো আসনেই জয়ী হতে পারেনি। পাকিস্তানের দুই অংশের এই রাজনৈতিক বিভাজনই পাকিস্তান ভাঙার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল।

পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ ১৬০টি (+৯ নারী আসন) আসন পেয়েছিল। প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ ওই জোয়ারের সময়ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। এ বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগকে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও সবাই পাকিস্তান ভেঙে যাওয়া সমর্থন করেননি। ফলে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাংলাদেশ চাইলেও বিরোধিতা করার লোকের সংখ্যাও একেবারে কম ছিল না।

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা নির্বাচনের পর থেকেই ইয়াহিয়া খান করেছিলেন। তাঁকে কুপরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতালোভী জুলফিকার আলী ভুট্টো। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ম্যান্ডেট পাওয়ার পরও বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে ইয়াহিয়া এবং তাঁর পরামর্শদাতারা পাকিস্তানের ভাঙন অনিবার্য করে তুলেছিলেন। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পোড়া মাটির নীতি অনুসরণ করে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। সত্তরের নির্বাচনে গণরায় পেয়েই বঙ্গবন্ধু বলতে পেরেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না’। বাঙালিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে 
দাবিয়ে রাখা যায়নি।

নানা নাটকীয় ঘটনার পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাধ্য করেছিল প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিতে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের বদমতলব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। কিন্তু তিনি আগ বাড়িয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী হওয়ার অপবাদ নিতে চাননি। তবে তিনি জানতেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর না হলে কী করতে হবে। তাই একাত্তরের মার্চ মাসের ৭ তারিখেই ‘যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার’ আহ্বান দেশবাসীর প্রতি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তিনি হুকুম দিতে না পারলেও বিজয় ছিনিয়ে আনার লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে সেই লড়াই শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর।

নয় মাসের অসম যুদ্ধে বাঙালি বিজয় অর্জন করে। জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বে ৯০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। এর আগে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশজুড়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করেছে, নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, প্রায় এক কোটি মানুষকে দেশত্যাগে 
বাধ্য করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিবেশী ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছেন। চীন-আমেরিকাসহ মুসলিম বিশ্বের বিরোধিতা ও চাপ উপেক্ষা করার সাহস দেখিয়েছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নসহ সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে ভারতকে ভরসা জুগিয়েছে। বাংলাদেশের ভেতরে যেমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ছিল, তেমনি দেশের বাইরেও অনেক দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতা করেছে। সব বিরোধিতা মোকাবিলা করে বাঙালি জয়ী হয়েছে। তবে মুক্তির মন্দির সোপানতলে বলীদান হয়েছে লাখ লাখ জীবন। মুক্তিযোদ্ধা এবং কোটি কোটি সাধারণ মানুষের অসাধারণ আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের কাছে পরাভূত হয়েছে পাকিস্তানি বর্বর সেনাদল এবং তাদের এ দেশীয় দোসর-অনুচরেরা।

একাত্তরের ডিসেম্বরে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছিলাম, যে নতুন স্বপ্নের দেশ আমরা পেয়েছিলাম, সেই দেশে বিজয়ের ধারা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে পারিনি। বিজয় অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মতো নারকীয় ঘটনাও দেশে ঘটেছে। যেসব আদর্শ ও মূল্যবোধ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি, তা এখন আর অটুট নেই। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ যেন আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।

এরপর ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরেও আমরা একটি বড় বিজয় অর্জন করেছিলাম। প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এরশাদের হাত ধরে যে পাকিস্তানি ধারার সামরিক শাসন জাতির ওপর চেপে বসেছিল, তার অবসানের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরবে বলে আশা করা হয়েছিল। গণতন্ত্র বিকশিত হবে, নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন হবে না—এটাই ছিল নব্বইয়ের আন্দোলনের লক্ষ্য। কিন্তু আজ তিন দশক পরে এসে আমরা কি দৃঢ়ভাবে বলতে পারছি যে আমাদের সে লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জিত হয়েছে? নব্বইয়ের বিজয়ও ধরে রাখা যায়নি।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন। কেন আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারি না? কোথায় আমাদের গলদ বা ত্রুটি? কেন আমরা শত্রু-মিত্র চিনতে বারবার ভুল করি? পরাজিত শক্তি কোন ফাঁকে বা আমাদের কোন দুর্বলতায় মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম হয়?

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সাহস এবং দূরদর্শিতা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী পালের গোদারা ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবের মুখে। আরও নানা অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। তারপরও অপূর্ণতা আছে। আছে অপ্রাপ্তি। রাজনীতিতে সহনশীলতা অনুপস্থিত।

দুর্নীতি কমছে না। সুবচন আজ যেন সত্যি নির্বাসনে। বাড়ছে বৈষম্য। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনব্যবস্থা। গণতন্ত্র যেন শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলনের মিছিলে একটি জনপ্রিয় স্লোগান ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় এসে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, সব ধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটানোই ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি অন্যতম লক্ষ্য।

লেখক: বিভুরঞ্জন সরকার সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ