কুমিল্লার আইটি বিশেষজ্ঞ শাহাদাত আলী খান সাবাত (৩০) হত্যাকাণ্ডের দুই বছরেও সূত্র উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ নিয়ে নিহত সাবাতের বাবা-মা ও বোন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা এ নিয়ে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এ সময় ছেলের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে নিহত সাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রাফেয়া আক্তার ডেইজি লিখিত বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে শাহাদাত আলী খান সাবাতকে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে তাকে খোঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করেন তার বাবা। ১ জানুয়ারি সকালে গোমতি নদীর পালপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় সাবাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর সাবাতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা খুনিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে থানা-পুলিশ। ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত সাবাতের বাবা ডা. লিয়াকত আলী খাঁন ও বড় বোন ডা. শারমীন খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন হওয়ার দুই বছর অতিবাহিত হলেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়া নিয়ে তাঁরা হতাশার মধ্যে আছেন। খুনিরা শনাক্ত ও গ্রেপ্তার না হওয়ায় এখন এক অজানা আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের।
সাবাত খানের মা রাফেয়া আক্তার ডেইজি আরও বলেন, ‘আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনার আলামত ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি পরিষ্কার। কিন্তু দুই বছর পার হলো আমার ছেলের খুনিরা ধরা পড়লে না। এতে আমাদের মনে নানা প্রশ্ন জাগছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘এটা ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড। বাদীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে।’