কাবুলের নীল গম্বুজওয়ালা মসজিদ। সামনেই জমেছে ছোটখাটো বাজার। সাজিয়ে রাখা হয়েছে পচা কমলার বস্তা। পাশেই নান রুটির উচ্ছিষ্ট অংশ। সাধারণত গবাদিপশুকে খাওয়ানোর জন্য এগুলো কিনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ক্ষুধা নিবারণের জন্য অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসি এসব খাবার। সারা দিন কাজ করে যে আয় হচ্ছে তা দিয়ে এর চেয়ে ভালো কিছু সম্ভব না।
৩০ বছর ধরে আফগানিস্তানের কাবুলের পুল-ই-খেশতি বাজারে বাসি রুটি ও কমলা বিক্রি করেন শাফি মোহাম্মদ। ২৯ বছর ধরেই দেখে আসছেন প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন ক্রেতা আসেন। কিন্তু এ বছর ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে ২০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবার নিয়ে খাওয়ার জন্য নিয়ে যান।
বাসি রুটি কিনতে আসা বেশ কয়েকজন অর্থনৈতিক সংকটকে দুষছেন। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর তাদের গড় আয় তিন গুণ কমে গেছে। উল্টো চিত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে। হু হু করে বাড়ছেই। ‘খাঁচায় বন্দী পাখি যেমন খাবার আর পানির জন্য ছটফট করতে থাকে, আফগানদের অবস্থা হয়েছে অনেকটা সে রকম। আল্লাহ আমাদের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিক।’—সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এভাবেই বলছিলেন শাফি মোহাম্মদ।
এমন সংকটের মধ্যেই কমে গেছে বিদেশি সহায়তা। অল্প যা কিছু মিলছে, তাও এত বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে পারছে না। এরই মধ্যে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েই যাচ্ছে তালেবান সরকার।