ইউপি নির্বাচনে রাজশাহীর একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ফাহিমা বেগম। পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নও। প্রচার চলাকালে নৌকা নিয়ে অনেকটা একাই মাঠে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি জিততে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় সাংসদসহ দলের নেতা-কর্মীরাই নৌকা ডুবিয়েছেন।
ফাহিমা বেগম জেলার পবা উপজেলার পারিলা ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন। গত রোববার ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফলে চার প্রার্থীর মধ্যে তিনি হয়েছেন তৃতীয়।
পারিলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সাঈদ আলী মোর্শেদ ১২ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ছিলেন। এখানে আরেক ‘বিদ্রোহী’ ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৩ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফাহিমা বেগম ৪ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাঈদ আলী মোর্শেদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে ২৬ নভেম্বর ফাহিমা বেগম অভিযোগ করেছিলেন, সবই লোকদেখানো। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলীই কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ আলীর হয়ে। আর তিনি কাজ করছেন অনেকটা একা।
ফাহিমা ২০১৬ সালের নির্বাচনেও নৌকা পেয়েছিলেন। তবে ধরাশয়ী হয়েছিলেন বিদ্রোহী সাইফুল বারীর কাছে। ফাহিমা বলেন, ‘দুবার নির্বাচনে জায়গা-জমি বেচে আমি নিঃশ্ব হয়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিলেও এমপি মেনে নেননি। তাঁরা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। আমি এর বিচার চাই।’
সাংসদ আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘নৌকা নেওয়ার আগে তাঁর (ফাহিমার) বিবেচনা করা উচিত ছিল জনসমর্থন আছে কি না।’