আমার নায়িকাজীবনের শুরুর দিকের নায়ক ছিলেন রাজ্জাক। ‘বেহুলা’ সিনেমাতে তাঁর সঙ্গে প্রথম অভিনয়। কাজ করার সময় তিনি আমাকে সাহস জোগাতেন। সহশিল্পী হিসেবে বোঝাপড়াটা প্রথম সিনেমাতেই গড়ে উঠেছিল আমাদের মধ্যে। প্রথম সিনেমাটাই দর্শক গ্রহণ করেছিলেন। হল থেকে সিনেমাটি নামানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সে সময় তো আর পুরস্কার ছিল না। সবচেয়ে বড় পুরস্কার ছিল, হলের বাইরে লাল বোর্ডে ‘হাউসফুল’ লেখা। সেটা আমরা পেয়েছিলাম। বেহুলা দিয়েই বাংলা সিনেমার জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ‘মনের মতো বউ’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, ‘প্রতিশোধ’সহ অনেক সিনেমায় কাজ করেছি।
আজ নায়করাজ রাজ্জাকের ৮২তম জন্মদিন। নায়ককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর সহশিল্পী অভিনেত্রী সুচন্দা
আমাদের একটি টিম ছিল। আমি, রাজ্জাক ও বেবী জামান। অনেক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি আমরা। সে সময় আমাদের সিনেমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল পাকিস্তানিরা। কিন্তু বাংলা সিনেমাকে দাঁড় করানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। প্রচুর কষ্ট করতাম। কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় কেটেছে। রাজ্জাকের অনেক জন্মদিন শুটিং সেটেই উদ্যাপন করেছি। কতশত স্মৃতি তাঁর সঙ্গে, সবই মনে পড়ে! ‘জীবনসঙ্গী’ সিনেমায় মোটরসাইকেলে রাজ্জাককে ধরে পেছনে বসে আছি। একপর্যায়ে পড়ে যাই। অনেক ব্যথা পেয়েছিলাম, ভয়ও। রাজ্জাক আমাকে সাহস জুগিয়েছিলেন।