ভোলার লালমোহনে মো. রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থী শখের বশে কবুতর পালা শুরু করেন। ৩ জোড়া কবুতর থেকে এখন তাঁর কবুতরের সংখ্যা ৫০ জোড়ায় দাঁড়িয়েছে। কবুতর বিক্রি করে নিজের পড়ালেখার খরচও চালাচ্ছেন রাব্বি।
উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাংগাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি। শখ থেকে শুরু করা কবুতরই এখন তাঁর আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। খরচ বাদে মাসে ৪-৫ হাজার টাকা থাকে বল জানিয়েছেন রাব্বি। যখন কলেজে যান তখন বাড়িতে কবুতরের খামার দেখাশোনা করেন মা রাজু বেগম। তাঁর দেখাদেখি গ্রামের আরও অনেক ছাত্র কবুতর পালা শুরু করে দিয়েছে।
রাব্বির বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। রাব্বি বলেন, ‘মামা শাহাবুদ্দিন বাসার ছাদে দেশি জাতের কবুতর পালন করে। এখান থেকে ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে ৩ জোড়া কবুতর নিয়ে পালা শুরু করি। এখন আমার ৫০ জোড়ার মতো কবুতর আছে। আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়তাম। এখন ভোলা সরকারি কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষে পড়ালেখা করি। এখন আমার পড়ালেখার খরচ কবুতর পালন করেই আসে। বাড়ি থেকে বাচ্চা কবুতর বিক্রি হয় বেশি। বড় হলে গ্রামের বাজার গুলোতে বিক্রি করে দিই। মাঝেমধ্যে ব্যাপারীরা বাড়িতে এসে বড় কবুতরগুলো কিনে নিয়ে যান।’
রাব্বির মা রাজু বেগম বলেন, ‘ছেলে শখ করে কবুতর পালন শুরু করে। এখন বাণিজ্যিকভাবে পালছে। কবুতর পালন করার পরে থেকে তাকে আর পড়ালেখার খরচ দেওয়া লাগে না। আমাদের সংসারে খরচ বেশি। এর মধ্যে ছেলেটা বুদ্ধি করে এমন কাজ করবে ভাবিনি। আমাকে ঈদ আসলে শাড়ি জুতাসহ ঈদের মার্কেট করে দেয়। তার বাবাকে লুঙ্গি-পাঞ্জাবিসহ ঈদের কেনাকাটা করে দেয়।’
উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কবুতর পালনের উদ্যোগ নিতে পারে। এক দিকে পরিবারকে সহযোগিতা করা হলো ও পড়ালেখার খরচও চলল। রাব্বিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কবুতর পালনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।