রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর রশিদ হায়দার ময়না ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। এ দুই প্রার্থীর বিপুল সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে হলফনামায়।
গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জিসান টাইলস অ্যান্ড স্যানিটারি, জিসান মৎস্য খামার, জিসান লেদার্স অ্যান্ড লাইফস্টাইল এবং জিসান অ্যাগ্রো। জাহাঙ্গীরের কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ৭০ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া থেকে পান ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫৪৭ টাকা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৫ লাখ ৪০ হাজার ৪৩০ টাকা।
এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বছরে সম্মানী পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীর আলমের নগদ আছে ১০ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ এবং অন্য খাতের (ব্যবসায়িক পরিসম্পদ) আয় ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ টাকা। আছে ২০ লাখ টাকার মৎস্য খামার আর গরুর খামার আছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আছে ২৮ ভরি স্বর্ণ এবং ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৫ টাকা। স্ত্রীসহ জাহাঙ্গীরের ব্যাংকঋণ আছে ১১ কোটি ৪৫ টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর ঋণ ৪২ লাখ টাকা।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। সব সম্পদের বিবরণ হলফনামায় আছে। এর বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই।’
এদিকে তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর রশিদ হায়দার ময়না নিজের পেশা ঠিকাদারি ও কৃষি বলে উল্লেখ করেছেন। কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র আছে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার। আর চেয়ারম্যান হিসেবে বছরে সম্মানী পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নগদ আছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫১ টাকা।
ব্যাংকে জমা আছে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ টাকা। স্থায়ী আমানত আছে ৩০ লাখ টাকা। স্ত্রীর আছে ১০ ভরি স্বর্ণ। পৈতৃক সূত্রে ২০ বিঘা জমির মালিক তিনি। আর হেবামূলে পেয়েছেন ১২ বিঘা অকৃষি জমি।
ময়না বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। জীবনে কী পেলাম আর না পেলাম, তা নিয়ে ভাবি না। জনগণের সেবা করে যেতে চাই।’