হোম > ছাপা সংস্করণ

দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের পাথর বিক্রিতে কমিশন এজেন্ট থেকে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (হিসাব, অর্থ ও মার্কেটিং) মো. মাহবুবুল আলম এবং উপমহাব্যবস্থাপক (ভান্ডার) হাসান মাহমুদুল ইসলাম সুমন।

মো. শফিউল আলম নামে এক ব্যক্তি ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পার্বতীপুরের মো. আবু হাসনাত মণ্ডল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একই বিষয়ে লিখিত দুটি অভিযোগ করেন। এতে তাঁরা অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনেন। এরপরই মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রশাসনের টনক নড়ে। ঘটনা তদন্তে মহাব্যবস্থাপক মো. আবু তালেব ফরাজী এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবালকে প্রধান করে গত চলতি মাসের ৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ২০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি একটি উড়ো চিঠি। তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এ বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না। কোনো রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন বলে দাবি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খনির কমিশন এজেন্ট ও ব্যবসায়ী জানান, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা খনির পাথর বিক্রি এবং সরবরাহের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা কমিশন এজেন্টদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো ঘুষ চান না। কিন্তু টাকা না দিলে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। কোনো কারণ ছাড়াই দেওয়া হতো না চাহিদাপত্র বা ডিমান্ড অর্ডার। ছাড়া হয় না বিলের চেক।

কমিশন এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা আরও জানান, অভিযুক্ত কর্মকর্তা মহাব্যবস্থাপক (হিসাব, অর্থ ও মার্কেটিং) মো. মাহবুবুল আলমকে প্রতি এক হাজার টন পাথর বরাদ্দ বা সরবরাহ আদেশের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রতি বিলে ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।

পার্বতীপুর মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও সার্ভিস) শাহ্ মুহম্মদ রেজওয়ানুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, অভিযোগপত্রে শুধু নাম দেওয়া, কোনো মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা নেই। তারপরও বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তাধীন বিষয়ে এখনই কিছু বলার বা লেখার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অভিযুক্ত হলে তিনি অবশ্যই শাস্তি পাবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ