হোম > ছাপা সংস্করণ

‘আর কত হামলা হলে প্রশাসন জাগবে’

শাহীন রহমান, পাবনা

শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় অনেকেই বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করেন।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টার দিকে সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে অবরোধ চলাকালে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। কিছুক্ষণ পরে আরও কিছু শিক্ষার্থী টিএসসি এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে আসেন। বিশেষ করে জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বেশি রয়েছেন ওই অবরোধে। এ সময় তাঁরা ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’—এসব স্লোগান দেন।

যানজটে পড়ে মোহাম্মদপুর থেকে কাকরাইল গন্তব্যের যাত্রী সামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম স্বাভাবিক যানজট। পরে শুনেছি যে অবরোধ হচ্ছে। সবদিকেই তো রাস্তা বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা হয়েছি।’

অবরোধের পাশাপাশি প্রতিবাদ সমাবেশও করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—হামলার শিকার মন্দিরগুলো শিগগির সংস্কার করা; বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ক্ষতিপূরণ দেওয়া; হত্যার শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া; জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাসাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলার দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা; হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আধুনিকায়ন করে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা; জাতীয় বাজেটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জিডিপির ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা।

সমাবেশে বক্তব্যকালে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক জয়দ্বীপ দত্ত বলেন, ‘আমাদের সাত দফা দাবি ইতিমধ্যেই আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছি। দাবি মেনে নিতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে অনুরোধ করেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

অবরোধ ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। আর কত হামলা, অগ্নিসংযোগ হলে প্রশাসনের টনক নড়বে। আমরা তা বুঝতে পারছি না। অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাবি সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারপারসন ললিতা মণ্ডল ও সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি কুশল বরণ চক্রবর্তী প্রমুখ সংহতি প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ