গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে বন্যা ও নদীভাঙনে প্রতিবছরই মানুষ সর্বস্বান্ত হয়। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে ফিরে এসেছে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সুদিন।
সরেজমিনে ব্রহ্মপুত্র নদের চর খাটিয়ামারী, উজালডাঙ্গা, কাউয়াবাধা ও কুচখালী চর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ও দিনমজুরদের ব্যস্ততার চিত্র।
খাটিয়ামারী চরের কৃষক আব্দুর রশিদ (৪৫), নয়া মিয়া (৫২), ইসমাইল হোসেন (৪৮) ও কাউয়াবাধা চরের আমিনুল ইসলাম (৪৮) জানান, ‘এখন আশ্বিন-কার্তিক মাসে আগের মতো মঙ্গা নেই। সবজি চাষ করে অভাব দূর করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। আগে এ সময় কাজ থাকত না। খেয়ে না খেয়ে থাকতে হতো। এখন কাজের অভাব নেই।’
চরের বাসিন্দারা জানান, বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ থেকে এপ্রিল এই পাঁচ মাস কৃষিকাজ না থাকায় এ অঞ্চলের লোকজন বেকার হয়ে পড়তেন। মৌসুমের এই সময়ে বেকারত্বের কারণেই দেখা দিত খাদ্যের অভাব বা মঙ্গা। এই মঙ্গা শব্দটি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল। এখন আর সে অবস্থা নেই।
ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামাণিক বলেন, সরকার ও এনজিওদের প্রচেষ্টায় এ অঞ্চল থেকে আশ্বিন-কার্তিক মাসের মঙ্গা দূর হয়েছে। এ সময় সরকারের কৃষি ভর্তুকি, ভিজিএফ, ভিজিডি, ১০ টাকা দরে চাল, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীনদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিন্টু মিয়া বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্নমুখী কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় এখন আর এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে খাদ্যাভাব নেই। তা ছাড়া এখন চরাঞ্চলের অনেক জমিতে শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হচ্ছে, যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।