কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রিপন ভূঁইয়া পৈতৃক জমিতে সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। দরজি কাজ, কাপড় ব্যবসা ও বোরোধান চাষ করে চলছিল সংসার। হঠাৎ আগুনে পুড়ে শেষ হয় তাঁর ব্যবসা। এর পর থেকেই রিপন পৈতৃক জমিতে সবজির চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর নামমাত্র লাভ হলেও পরের বছর পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। সবজি চাষ করে তিন ছেলেকে পাঠিয়েছেন বিদেশে। সবজি চাষে তাঁর সাফল্য দেখে, স্থানীয় অন্য তরুণেরাও সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাঁর দোকান দুবার আগুনে পুড়ে যায়। এর রিপন কৃষি বিভাগের পরামর্শে পৈতৃক ১৩ শতাংশ জমিতে শুরু করেন টমেটো চাষ। সে বছর আংশিক লাভ হলেও পরে আরও জমিতে শুরু করেন নানা রকম সবজির চাষ।
গতকাল সোমবার দুপুরে গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৩ থেকে ৪ জন শ্রমিক নিয়ে রিপন ভূঁইয়া জমি থেকে টমেটো উঠিয়ে ক্যারেটে সংরক্ষণ করছেন বাজারে নিয়ে যেতে। এ সময় কথা হইয় রিপনের সঙ্গে।
এবার তিনি করলা, খিড়া, কাঁচা মরিচ, সরিষা, রসুন আলু ও টমেটো চাষ করেছেন। ১৩ শতাংশ জমিতে ব্র্যাক ১৭৩৬ ও ব্র্যাক আশা প্রজাতির টমেটো চাষ করেন। ৩০ হাজার টাকা খরচে ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। ধারণা করছেন আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিক্রি হবে। মোট লাভ হতে পারে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।
কৃষক রিপন ভূঁইয়া বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্যি কৃষি বিভাগ আজও কোনো প্রণোদনা দেয়নি। চাষ করলে যে সোনা ফলানো সম্ভব তা আমি জানি। পাশের খাল শুকিয়ে যাওয়ায়, তীব্র সেচ সংকট দেখা দেয়। স্বল্প লাভে ঋণ ও কৃষি প্রণোদনা পেলে আরও বেশি জমি চাষ করতে পারতাম।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, রিপনের মত অন্য তরুণেরাও যদি কৃষি আবাদে এগিয়ে আসেন, তাহলে পুষ্টি উৎপাদনের সঙ্গে, বেকার সমস্যা দূর হবে।