বরগুনা মাছ বাজারে ৭০০ টাকা কেজি দরে মাইকিং করে বিক্রি হয়েছে সমুদ্রের ইলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরগুনা মাছবাজারের বিক্রেতারা মাইকিং করে এসব ইলিশ বিক্রি করেন। মাইকিং শুনে ক্রেতারা বাজারে ভিড় জমান। অনেকেই উৎসুক দর্শকের ভূমিকায় আবার অনেকে ইলিশের স্বাদ নিতে কিনে নিয়েছেন রুপালি মাছ।
মাছবাজারের ইলিশ বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাট থেকে ইলিশ নিয়ে ফেরা পটুয়াখালীর মহিপুরের একটি ট্রলার থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ইলিশ কিনে আনেন বরগুনার একজন আড়তদার। সেই ইলিশ এখন কেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বাজারের পাইকাররা।
কালাম বলেন, ‘আমরা বরগুনা পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ৭ থেকে ৮০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশের দাম নির্ধারণ করেছি ৭০০ টাকা। অনেক দিন পর বাজারে কম দামে ইলিশ পেয়ে ক্রেতারা খুশিতে মাছ নিয়েছেন।’
রমিজ জাবের নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারের তুলনায় এই ইলিশের দাম একটু কম থাকায় আমি তিন কেজি ইলিশ মাছ কিনেছি। মাছগুলো তাজা মনে হচ্ছে।’
আবদুর রব নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘শুনলাম মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তাই এই সুযোগে ইলিশ কিনতে চলে আসলাম। ইলিশ ভালো হলে কিনব।’
বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গত দুই দিনে বিএফডিসি মৎস্য বাজারে মোট ৩৮ হাজার ১৫ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার ২১৭ কেজি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ৭৯৮ কেজি। মোট মাছ বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকার।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার সাগরে গিয়ে ইলিশ শিকার করেছে। দুই দিন ইলিশ মিললেও এখন আর তেমন ইলিশ নেই। তবে আমরা আশা করি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়বে।’