জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার পাহানপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাবলু পাহান (৩৫)। গোয়ালঘরে লাগা আগুন থেকে গরু বের করার সময় তাঁর শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বর্তমানে ভর্তি আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে টাকার অভাবে তাঁর উন্নত চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাহানপাড়া মহল্লায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাবলু পাহান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলাতেন। তাঁর বড় মেয়ে শ্রাবন্তী পাহান (১২), আর ছোট মেয়ে সুমান পাহান (২)। কয়েক দিন আগে ছোট মেয়ের এক পা আগুনে পুড়ে যায়। শাবলু পাহানের সম্বল বলতে তাঁর ছিল অন্যের পালন করা চারটি গরু। এর মধ্যে দুটি গাভি আর দুটি বাছুর। গত বৃহস্পতিবার গোয়ালঘরে আগুন লেগে দুটি বাছুর পুড়ে মারা যায়। আগুনে একটি গাভির শরীরে অধিকাংশ পুড়ে গেছে। সকালে সেটি জবাই করা হয়েছে। আর একটি গাভি অক্ষত রয়েছে। গোয়ালঘর থেকে গরু বের করে আনায় সময় শাবলু পাহানের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। কিন্তু টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।
শাবলুর মা মহুরি পাহান বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, টাকার অভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকারিভাবেও কোনো সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাইনি।’
আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ওই বাড়ির গোয়ালঘরে লাগা আগুনের সূত্রপাত ছিল শর্টসার্কিট থেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রুহুল আমিন বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির এই মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাঁর শরীরের প্রায় ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি, স্বজনদের জানানো হয়েছে তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এখন।’
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। তবে ঘটনাটি শুনেই স্থানীয় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে নির্দেশ দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আমি আক্কেলপুরে এসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা করব।’