কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার জনতা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল ইসলামকে সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে কুলিয়ারচর থানা-পুলিশ।
মামলা অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, মো. কামরুল ইসলাম বিএডের সনদ জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তকরণের ময়মনসিংহের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক বরাবরে আবেদন করেন। তাঁর দাখিল করা আবেদনে দেখা যায়, তিনি বিএড সম্পন্ন করেছেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে। কিন্তু তাঁর সনদ জাল বলে দাবি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি মোহাম্মদ শাহিনুর রহমান। শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির পরিদর্শক মো. হেদায়েত উল্লাহ তদন্ত করে, অভিযোগ সত্য এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, মঙ্গলবার কামরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠালে,আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।