চট্টগ্রামে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আদালত বাসচালকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান গতকাল রোববার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের আসামি মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে টিপু (২৪) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার দোহাজারীর দেওয়ানহাট এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ গত বুধবার আসামি আনোয়ার ও তাঁর সহকারী জনি দাসকে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারের পর আসামি জনি দাস আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯ মে রাতে নগরের বাকলিয়া রাহাত্তারপুল এলাকায় চলন্ত বাসে ১৯ বছর বয়সী এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাসের চালক। এ সময় চালকের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে চালককে ঘুষি মেরে লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে যান পোশাককর্মী। তিনি গুরুতর আহত হয়ে ৬ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেকহা) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঘটনার দিন চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও সিঅ্যান্ডবি এলাকার পোশাক কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন ওই পোশাককর্মী। রাত ১০টার দিকে বাসের অন্য সহকর্মীরা নিজ নিজ গন্তব্যে নেমে যান। এ পোশাক কর্মীর গন্তব্যস্থল বহদ্দারহাট। সেখানে তাকে নামানো হয়নি। বাসটি দ্রুত গতিতে কর্ণফুলীর শাহ আমানত ব্রিজ সড়কের দিকে চলতে থাকে।
একপর্যায়ে চালক আনোয়ার হোসেন ওরফে টিপু চালকের আসন থেকে নেমে এসে তাঁর সহকারী জনি দাসকে চালকের আসনে বসান। চালক পোশাক কর্মীর পাশে এসে তাঁকে পেছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তরুণী চালককে ঘুষি মেরে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে পড়ে যান। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। জ্ঞান ফিরলে তিনি এ ঘটনা স্বজনদের জানান। পরে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই তরুণীর লাফ দেওয়ার সত্যতা পায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পোশাককর্মীর মা নগরের বাকলিয়া থানায় মামলা করেন।