হোম > ছাপা সংস্করণ

তীব্র ভাঙনে দিশেহারা শতাধিত পরিবার

সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ভাঙনে ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদে চলে গেছে।  হুমকির মুখে রয়েছে আরও ৫ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। ভাঙনে বাড়িঘর হারানো শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। বাড়িঘর হারানো পরিবারের সদস্যরা রাস্তার পাশের অন্যের জমিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী, খেদাইমারী, সুখেরবাতি, খাউরিয়া, বন্দবেড় ইউনিয়নের গোয়ালেরচর, ফলুয়ারচর, উত্তর ফলুয়ারচর, পালেরচর, কুটিরচর, চরবাঘমারা, রৌমারী ইউনিয়নের কান্তাপাড়া, কাশিয়ারচর, চাক্তাবাড়ি, যাদুরচর ইউনিয়নের দুবলাবাড়ি, ধনারচর পশ্চিমপাড়া ও কাঠিয়ামারী গ্রাম।

যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার কর্তিমারী বাজার রক্ষা বাঁধ ও ধনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরার পরেও এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের আসরাফ আলী বলেন, ‘আমাদের বসতভিটা নদীতে ভেঙে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে অন্যের জমিতে কোনো মত ঠাঁই নিয়ে বেঁচে আছি।’

একই ইউনিয়নের পালেরচর গ্রামের ছোরমান মাঝি বলেন, ‘জমি জমা ঘড়বাড়ি আমার সব নদীতে ভেঙে গেছে। রাস্তার পাশে ছাপড়া দিয়ে পোলাপান নিয়ে কোনো মতে জীবন যাপন করছি। কত দিনে আমার বসত ভিটা জেগে উঠবে আল্লাই জানে। সরকার যদি একটু খাস জমি দিতো সেখানে বউপোলাপান নিয়ে থাকতে পারতাম।’

উত্তর ফলুয়ারচর গ্রামের মকুল, শানু, সভা দাশ, মঞ্জু, কুতুব আলী, জহেরা, তুলসী, হনুফা, জামাল শেখ, ছামছুল, তারাফুল, ছমেদ বলেন, ‘দিনের পর দিন নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলেও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে প্রতিবছরে নদী ভাঙনে আমাদেরকে আতঙ্কে থাকতে হয়।’

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। পানি বৃদ্ধির শুরুতে ফলুয়ারচরে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। সেগুলোও এখন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরবে নদী পারের মানুষদের’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ