এই জয় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল। ১৫তম ম্যাচে এসে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি দেখলাম। এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার যে ক্রিকেটাররা এত সুযোগ পাচ্ছে এবং সুযোগ অবশেষে কাজে লাগাল।
শান্ত, সাকিব আল হাসান আর আফিফ হোসেনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালো একটা সংগ্রহ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও সংগ্রহটা খুব বড় নয়। কিন্তু মনে হয়েছে যে বাংলাদেশ ইতিবাচক ব্যাটিং করছে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে। শেষ দিকে বেশি রান হয়নি শান্ত আউট হয়ে যাওয়ায়।
ব্রিসবেনে গতকাল ১৬০ রানের উইকেট ছিল, কিন্তু দুই দলের মাঝে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের প্রথম স্পেল উইকেট ভালো না খারাপ, জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শক্তিশালী না কী সব নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে তাসকিন ও মোস্তাফিজ দুর্দান্ত ছিল। এ ধরনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই দুজনেই খেলার দৃশ্যপট তৈরি করে দিয়েছে।
এতে আমরা ভাবতে পারি, যদি ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে জিততে পারি…আমাদের ভালো একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা তো অসম্ভব কিছু না। মোসাদ্দেক হোসেন নার্ভ হারায়নি। কারণ, চাপ তখন ওর ওপরই। নুরুল হাসান সোহানও ভেঙে পড়েনি। আবার স্টাম্পড করেছে। তবে কৃতিত্ব মোসাদ্দেকের যে ওই সময় ভেঙে পড়েনি।
আমার মন হয় জিতলেও বোলিং হ্যান্ডেলিং ভালো ছিল না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দুই স্পিনার ১৯তম ও ২০তম ওভার করবে, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত। আমাদের হেরে যাওয়ার আশঙ্কাও ছিল। সাকিব যে রানআউট করল, ওটা না হলে খেলার অন্য ফলও হতে পারত। শন উইলিয়ামস থিতু ব্যাটার ছিল উইকেটে। কিন্তু এ ধরনের ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। যদিও মাঠ অনেক বড়। তবু আমি হলে মোস্তাফিজের ১ ওভার রেখে দিতাম।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দোষ ধরলে অনেক ধরা যায়। উল্টোও আছে। ভালো বললে অনেক ভালোই বলা যায়। এ সংস্করণটাই এমন যে, যে কেউ জিততে পারে। আমরা যে দুটো ম্যাচ জেতার কথা ছিল, জিতে গেছি। এখন সামনের দুই ম্যাচে আমাদের জেতার মতো মানসিকতা থাকা উচিত।
জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে এসেছে। সেখানে জিম্বাবুয়ে চাঙা ছিল, তাদের হারানো এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেবে। এই ম্যাচে তাসকিন আর মোস্তাফিজের বোলিংয়ের সঙ্গে ভালো কোনো ব্যাপার ঘটল, সেটা টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।