চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গত এক মাসে (নভেম্বর) পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতার কারণে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, ৮ নভেম্বর উপজেলার সরল ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। ১৫ নভেম্বর সরল ইউনিয়নের মিনজিরীতলায় পুকুরে ডুবে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। ১৭ নভেম্বর শেখেরখীলে পুকুরে ডুবে জান্নাতুল মাওয়া (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
১৯ নভেম্বর খানখানাবাদ ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২২ নভেম্বর শেখেরখীল ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২৭ নভেম্বর শিলকূপ ইউনিয়নের মোহাব্বত আলীপাড়ার পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয় প্রবাসী মোস্তাক আহমদের মেয়ে ইসরাতের (২)।
এ বিষয়ে বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিশুদের ওপর পরিবারের সদস্যদের নজরদারি কম থাকায় এ ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউল রহমান মজুমদার বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতার কারণে পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশির ভাগ শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে এক মাসে পুকুরে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগের বিষয়। পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে।