জকিগঞ্জ উপজেলার পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী এখনো পায়নি নতুন বই। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও বই পায়নি। শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, ৩০% শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। এক সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮টি কিন্ডারগার্টেন, দুটি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ও ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৭টি মাদ্রাসা রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নতুন বই তুলে দেওয়া হলেও এ বছর তা সম্ভব হয়নি। জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে এলেও এখনো পঞ্চম শ্রেণিতে কোনো বই সরবরাহ করা হয়নি। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি, তৃতীয় শ্রেণির গণিত ও বিজ্ঞান বই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
জকিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আহমদ বলেন, এখনো সব ক্লাসের সব বই পায়নি বাচ্চারা। এরই মধ্যে করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলও নাই, বইও নাই, বাচ্চারা পড়বে কীভাবে?
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন, ‘৩০% শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। ছাপাখানা থেকে এখনো উপজেলায় বই পৌঁছে দেওয়া হয়নি। আমরা ছাপাখানার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’