হোম > ছাপা সংস্করণ

নেতা বলে কথা!

সম্পাদকীয়

তিনি একজন রাজনৈতিক দলের নেতা, তাও আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তিনি দলের কত বড় নেতা, কোন কমিটিতে কোন পদে আছেন, সেটাও বড় কথা নয়। সব কথার শেষ কথা, তিনি আওয়ামী লীগের নেতা, নেতা হিসেবেই তিনি পরিচিত। আর নেতা হলে সাত খুন মাফ বলেই তিনি ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নেতাকে গ্রেপ্তার বরণ করতে হয়েছে। হুঁকোর চেয়ে ছিলিমের গরম বেশি দেখাতে গিয়ে নেতা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। তিনি কত দিন আটক থাকবেন, আইন এখানে 
নিজের গতিতে চলবে নাকি ‘ওপরের’ নির্দেশে চলবে, তা এখনো পরিষ্কার না হলেও মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সরকারি দলের একজন ‘নেতা’কে পুলিশ গ্রেপ্তার করার সাহস দেখিয়েছে, এটাই বা কম কী!

এবার আসা যাক মূল ঘটনায়। বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘ক্লাসে ঢুকে শিক্ষককে থাপ্পড় দিলেন নেতা’ শিরোনামের খবর: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক। সেখানে ঢুকে শিশুশিক্ষার্থীদের সামনেই ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি মারতে থাকেন এক নেতা। পরে শিক্ষককে হুমকি দিয়ে বেরিয়ে 
যান তিনি।

ঘটনাটি মাদারীপুর সদরের কালিকাপুরের ৪৩ নম্বর সাবেক কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটেছে। খবরে বলা হয়েছে, মারধরের শিকার শিক্ষকের নাম এনামুল হক। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই দেলোয়ার খাঁ নামের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার খাঁ মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক প্রায় চার বছর আগে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এই বিদ্যালয়ের পাশেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার খাঁর মামাতো ভাই আক্তার খাঁ পুরি ও শিঙাড়ার দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে শিক্ষক এনামুল হক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের বাইরের খাবার খেতে নিষেধ করতেন। বিশেষ করে শিঙাড়া-পুরি খেতে নিষেধ করতেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দেলোয়ার খাঁ। নেতা ছোট হলেও তাঁর মাথা যে যথেষ্ট গরম, তা বোঝা যায় তাঁর ক্ষিপ্ততার বহিঃপ্রকাশের ধরন দেখে। একজন শিক্ষকের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয়, তা-ও এই নেতার জানা নেই। শিক্ষক এনামুল হকের কারণে যদি নেতার মামাতো ভাইয়ের পুরি-শিঙাড়ার দোকান ক্ষতির শিকার হয়ে থাকে, তাহলে তিনি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে একটি ফয়সালা করতে পারতেন।

বিদ্যালয়ে ক্লাস চলার সময়ই শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষক এনামুল হককে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মেরে তিনি মারাত্মক অপরাধ করেছেন। কোনো অপরাধীর গায়ে হাত তোলাও সমীচীন নয়। নেতা হলেও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অন্যায়।

শিক্ষক এনামুল হক মাদারীপুর মডেল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর রাতেই পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে প্রশংসনীয় কাজ করেছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ