শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার প্রথম পছন্দ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের যেকোনো দেশ। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াও সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চশিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে চান কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনা করতে আসা যায় কিংবা স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
এ বছর স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে গোয়াংজু ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জিআইএসটি)। এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ কোরিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর গোয়াংজুতে অবস্থিত। এটি ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সাধারণত দুটি সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রথম সেমিস্টার মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেমিস্টার সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর স্নাতকের সময়সীমা ৪ বছর।
- ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবংকম্পিউটার সায়েন্স
- ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ডইঞ্জিনিয়ারিং
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- আর্থ সায়েন্স
- এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- লাইফ সায়েন্স
- ফিজিকস
- ফটোনিক্স
- কেমিস্ট্রি
- বায়োমেডিকেল সায়েন্স
- ন্যানোবিও ম্যাটেরিয়ালস
- ইন্টিগ্রেটেড টেকনোলজি
সুযোগ-সুবিধা
- টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে
- স্টুডেন্ট ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার ওন দেওয়া হবে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার টাকা।
- খাবার ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ওন দেওয়া হবে। * বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার টাকা।
- আন্তর্জাতিক ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার ওন দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার টাকা।
- ২ লাখ ওন এককালীন ভাতা দেওয়া হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
- বিমানে একবার যাওয়ার খরচ।
আবেদনের যোগ্যতা
- উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
- ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
- আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ অথবা টোয়েফল আইবিটিতে কমপক্ষে ৮০ স্কোর তুলতে হবে।
- আবেদনকারী শিক্ষার্থীর আগে কখনো অন্য কোনো কোরিয়ান ইনস্টিটিউট বা স্কুলে ভর্তি বা নথিভুক্ত হওয়া যাবে না।
- এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য কোনো জিআরই বা এসএটির প্রয়োজন নেই।
- সহশিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে ভালো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- উচ্চমাধ্যমিকের সনদ।
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
- একটি রিকমেন্ডেশন লেটার।
- পাসপোর্ট।
- ইংরেজি দক্ষতা সনদ।
- জীবনবৃত্তান্ত (সিভি)।
- ব্যক্তিগত বিবৃতি (এসওপি)।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।